কুয়েত ফ্রি ভিসা ২০২৪
আপনারা অনেকেই ফ্রি ভিসা এর কথা শুনে থাকেন। আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কুয়েত ফ্রি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনারা অনেকেই জানেন না হয়তো ফ্রি ভিসা নামে কুয়েতের কোন ভিসা নেই। যা আমরা ফ্রি ভিসা নামে জানি সেটা আসলে কফিল বা মালিক তার খাদেমকে কুয়েতে আনার পর তাকে দিয়ে কি কাজ করাবে ঘরের কাজ নাকি বাইরের কাজ এসব কাজ করার প্রক্রিয়াকে ফ্রী ভিসা বলা হয়। যদি আপনি প্রতিবছর আকামা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেন তবে আপনি বাইরে কাজ করার অনুমতি পাবেন এর জন্য কিছু টাকা দিতে হয় একে ফ্রি ভিসা বলা হয়ে থাকে। আপনি ঘরের কাজের পাশাপাশি বাইরের কাজ করে যে বাড়তি আয় করেন মূলত তাকেই ফ্রি ভিসা বলে।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
আপনারা অনেকেই রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যেতে চান। তেমনি ভাবে অনেকেই কুয়েতে কাজ করতে যেতে আগ্রহী। কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে এটা আমরা সকলে জানতে চাই। ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনারা কুয়েতে যেতে পারবেন। কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ টাকা বেশি এবং কম খরচ হতে পারে। তবে যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনারা বিস্তারিতভাবে জেনে নেবেন।
কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত
আপনারা অনেকেই কুয়েতে যাবেন বলে আশা করে থাকেন। তার জন্য আপনারা কুয়েত সম্পর্কে জানার জন্য অনেক জনের সহায়তা নিন বা গুগোল ইউটিউব ইত্যাদিতে সার্চ দিয়ে দেখেন। আজকে আপনাদের কে আমরা জানাবো কুয়েত ভিসার দাম কত এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি এগুলো আপনার সাহায্যে আসবে।
আসলে কুয়েত ভিসার জন্য নরমালি ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন। কিন্তু কুয়েত ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য খরচ হয় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের কেমন খরচ হতে পারে। বিমান টিকিট, মেডিকেল এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে নির্দিষ্টভাবে হিসাব করা হলে কুয়েত ভিসার জন্য খরচ হবে মোট দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো। কিন্তু আমরা দালালের মাধ্যমে যায় বলে আমাদের অনেক টাকা বেশি খরচ করতে হয়।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসা ক্যাটাগরি কত ধরনের
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসার জন্য কত ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে এই প্রশ্নটিই আমাদের প্রায়ই করে থাকেন। আজকে আপনাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশ থেকে যারা কুয়েতে যায় তারা যে সকল কাজ করেন তা নিচে দেওয়া হল। যেমন, রোড ক্লিনার, হসপিটাল, স্কুল ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, ইত্যাদি স্থান পরিষ্কার করা। ড্রাইভিং এর কাজ করা। হোটেলে কাজ করা ইত্যাদি রকমের কাজ করে থাকেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা
যদি কেউ ড্রাইভিং ক্যাটাগরিতে ভিসা নিয়ে কুড়িতে আসেন তাহলে আপনার দৈনিক ইনকাম খুব ভালো হবে এবং দ্রুত টাকা আয় করতে পারবেন। ড্রাইভিং ভিসায় চাকরি করতে হলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। যদি কুয়েতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেটি পরবর্তীতে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সার্টিফাইড করে দিলেই হয়ে যাবে।
কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের বেতন কত
আপনারা হয়তো অনেকেই কুয়েতে ড্রাইভিং করার জন্য যে থাকবেন। তারা নির্দিষ্টভাবে জানেন না আপনাদের বেতন কেমন হতে পারে আজকে আপনাদের সাথে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। ড্রাইভিং ক্যাটাগরিতে যদি আপনি চাকরি করেন তাহলে আপনাকে 8 ঘন্টা কাজ করতে হবে। যদি আপনি বাস এর ড্রাইভিং করেন তাহলে আপনার আয় হবে প্রায় ১৪৫ দিনার। আর যদি আপনি প্রাইভেট কার বা ছোট গাড়ি চালান তাহলে আপনার আয় হবে ১২০ থেকে ২৫ ডিনার এর মত। আট ঘন্টা ডিউটি কিন্তু এ ৮ ঘণ্টা আপনাকে দুই থেকে তিনটা শিফটে ভাগ করে দেওয়া হবে।