বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসা বিস্তারিত
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা 2024 বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য যাচ্ছেন। আপনারা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে চান | কেননা সেখানে কাজ করে আপনার জীবনের একটু উন্নতির জন্য। আজকে আপনাদের বাংলাদেশ থেকে কুয়েত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। যেমন, কবে ভিসা খুলবে, ভিসা খরচ কত, কেমন কেমন কাজ পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত তথ্য জেনে-নেওয়া যাক।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা
কুয়েতে ড্রাইভিং চাকরি পেতে হলে বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। কুয়েতের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেটি কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সার্টিফাইড করে নিতে হবে। তাছাড়া আপনারা কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারবেন না। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসাই যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তবে আপনি সেখানে গিয়ে ড্রাইভিং করতে পারবেন।
কুয়েত ড্রাইভিং কাজের বেতন কত?
বর্তমান সময়ে আপনি কুয়েতে কাজ করে অর্থাৎ ড্রাইভিং এর কাজ করে আপনি ১২০ দিনার থেকে ১৪০ দিনার আয় করতে পারবেন। আপনাকে সর্বনিম্ন প্রতিদিন আট ঘন্টা কাজ করতে হবে। এর বেশি কাজ করলে আপনাকে অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হবে।
আমরা অনেকেই জানিনা কুয়েতে ড্রাইভিং এর জন্য কত টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। এবং কত ঘন্টা কাজ করতে হয়। যেহেতু আপনারা অনেকেই কুয়েতে বিভিন্ন প্রকার হিসেবে কাজ করতে যাবে যে কারণে আজকের এই আলোচনা। চলুন কুয়েত সম্পর্কে অন্যান্য তথ্যগুলো ও নিম্নে থেকে জেনে নেওয়া যাক।
কুয়েতে যেতে হলে যা যা প্রয়োজন ?
কুয়েতে প্রবেশ করতে হলে বা যেতে হলে কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন গুলো গ্রহন করতে হবে। তাছাড়া আপনি কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী 2,3 রকমের ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে চলবে।
কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন হচ্ছে, অক্সফোর্ড, ফাইজার, জনসন এন্ড জনসন, মর্দানা এই ভ্যাকসিন গুলো দুটি গ্রহণ করলেই আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন।
কুয়েত ভিসা পাওয়ার পর করণীয় কি
কুয়েত ভিসা পাওয়ার পর আমাদের কি করনীয় এই সম্পর্কে আমরা অনেকে জানিনা। কুয়েত ভিসা পাওয়ার পরে আমাদের করণীয় কি সে সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
সর্বপ্রথম আপনাকে কুয়েত এয়ারপোর্ট এ আসতে হবে এবং পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। তারপরে আপনি আপনার ফোনে আপনি ইমুনি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন করে নেবেন।
কুয়েত মোবাইল আইডি এবং অ্যাপ্লিকেশন এবং স্লোনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং টিকিট করার পরে আপনাকে কুয়েত মুসাফির ওয়েবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আসার সময় অবশ্যই কিছু দিনার আনতে হবে, নতুন পরিবেশে আসার জন্যে এবং পরিবেশের সাথে মিল রাখার জন্য কিছুদিন থাকতে হবে এবং যে খরচগুলো হবে তার জন্য কিছুদিন দিনার আনার কথা বললাম। একটি সিম ক্রয় করতে হতে পারে ।
কুয়েতের বেতন কত ?
কুয়েতে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন রকম বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ৮ ঘণ্টা কাজ করে আপনি 75 দিনার করে বেতন পাবেন। আট ঘন্টার বেশি কাজ করলে আপনাকে অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত বেতন প্রদান করা হবে। তবে সকল কাজের বেতন একরকম যে কারণে যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনি আপনার ক্যাটাগরির বেতন সম্পর্কে যেণে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি বিমান ভাড়া কত টাকা
বাংলাদেশ থেকে কতো ধরনের ভিসা চালু রয়েছে
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাবার জন্য বেশ কয়েক রকম ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়া যায়। যেমন, কম্পানি ভিসা, খাদেম ভিসা, কোম্পানির মধ্যে পাবেন আপনারা ক্লিন ভিসা এবং ড্রাইভিং ভিসা | যদি আপনি ক্লিন ভিসায় আসতে চান তাহলে আপনাকে বেতন দেবে 75 দিনার এটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ হাজার হবে।
হসপিটাল ক্লিনার, রোড ক্লিনার, স্কুল ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, পুলিশ স্টেশন, অফিস-আদালত ইত্যাদি। যারা ক্লিন কাজের জন্য আসবেন তারা যেখানেই হোক না কেন ক্লিন কাজ পাবেন।
কুয়েতে কাজের কন্টাক্ট কতো দিনের এবং আকামা ফি কত
আপনারা যারা কুয়েতে কাজ করতে যাবেন তাদের জন্য এটা জানা জরুরি, কাজের কন্টাক থাকবে তিন বছর। তিন বছর পর পর আকামা হিসেবে কোন কোন কোম্পানি টাকা নেই অথবা কোন কোন কোম্পানি টাকা নেয় না। আকামা নবায়ন ফি 120 দিনার থেকে 170 দিনার এর মত।
কুয়েত ভিসার মূল্য কত
যারা কুয়েত যেতে চান তাদের সকলের একটি কমন প্রশ্ন সেখানে যেতে কত টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে আপনি কুয়েত যেতে চাইলে আপনার প্রায় খরচ হবে সাত লক্ষ টাকার মত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ কম অথবা বেশি টাকা খরচ হতে পারে। তবে যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনারা আপডেট তথ্য জেনে বুঝে যাবেন। ধন্যবাদ।